নভেম্বর ২০১৫
============
বর্ষাকাল শেষ হয়ে শীতের আগমনের অপেক্ষায়। যতই শীত আসছে ততই শূণ্যতার পরিমাণটা তিল তিল করে বাড়ছে। শহর ছেড়ে হঠাৎ ই গ্রামের বাড়িতে ছুটে এলাম। সন্ধ্যার পুর্বক্ষণে দিগন্তবিস্তৃত ফসলের মাঠের এক কোণে দাঁড়িয়ে সুর্যাস্ত, মধূর আবেগঘণ পরিবেশ। বুকের মাঝখানটায় কেমন যেন একপ্রকার ব্যাথা অনুভব হচ্ছে। দিগন্তের দিকে তাকিয়ে মনে হচ্ছে এ যেন সীমাহীন, সীমানাহীন। কি যেন নেই? কেউ একজন নেই? তাহলে কি তোমাকে? কোন উত্তর নেই? মাঠের চারপাশের গাছ-গাছালি মেঘের মত কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে গেছে, একঝাঁক বালিহাঁস আর কয়েকজোড়া শালিক উড়ে গেল মাথার উপর দিয়ে, আশেপাশের ঝোঁপ ঝাঁড়ে থেকে থেকে ডাহুক ডাকছে। একটু পড়েই আঁধারেরা জেগে উঠবে, আঁধারকেই স্বাগত জানাতে যেন প্রকৃতি উৎকণ্ঠা ভরে চেয়ে আছে। চারদিকে নেই শহরের যানজটের হর্ণ কিংবা মানুষের কোলাহল। দূরে কয়েকজন রাখাল, গরু আর ছাগল নিয়ে ক্ষীণপদে বাড়ির পানে ফিরে আসছে, আরও দূরে কিছু বালক দাঁড়িয়ে আছে, একজন বল করছে, দু’জন ব্যাট হাতে জয়ের জন্য রান তাড়া করছে। মাঠের থেকে একদল কৃষক রিক্তহস্তে ঘরের পানে ফিরছে। নিজেদের মধ্যে কিছু একটা বলাবলি করছে। নির্বাক আমি মনের ভেতর শত প্রশ্নের ঝড় তুলে বিন¤্রভরে আকাশের দিকে তাকিয়ে। সেই প্রশ্নগুলো যেগুলো এখন আর তাড়া করে না, ভাবিয়েও তোলে না কিংবা বুকের মধ্যিখানে চাপা একটা ব্যাথাও অনুভব হয়না। ঝুপ করে নিশ^ব্দে রাত নেমে এল। দুরে মাঠের পাশের ঘরগুলোতে সন্ধ্যাবাতি জ¦লে উঠল মিট মিট করে। প্রচ্ছন্ন একা আমি সুবিশাল মাঠের মাঝে দাঁড়িয়ে। সন্ধ্যাতারাটা একগাল হেসে বলে উঠল তুই ও কি আমার মত নিঃসঙ্গ? ওর বলাটা হয়তো শুনতে পাই নি। কিন্তু মাথার উপরে সন্ধ্যাতারাটা তার দলবল নিয়ে ঠিকই জেগে উঠেছে পুরো আকাশটা পাহাড়া দেওয়ার জন্য। সে এক অদ্ভুত অনুভূতি যা ভাষায় প্রকাশযোগ্য নয়, একাকীত্বের, তীব্রতার। এ অনুভূতি তোমাকে ভালোবাসার.....
============
বর্ষাকাল শেষ হয়ে শীতের আগমনের অপেক্ষায়। যতই শীত আসছে ততই শূণ্যতার পরিমাণটা তিল তিল করে বাড়ছে। শহর ছেড়ে হঠাৎ ই গ্রামের বাড়িতে ছুটে এলাম। সন্ধ্যার পুর্বক্ষণে দিগন্তবিস্তৃত ফসলের মাঠের এক কোণে দাঁড়িয়ে সুর্যাস্ত, মধূর আবেগঘণ পরিবেশ। বুকের মাঝখানটায় কেমন যেন একপ্রকার ব্যাথা অনুভব হচ্ছে। দিগন্তের দিকে তাকিয়ে মনে হচ্ছে এ যেন সীমাহীন, সীমানাহীন। কি যেন নেই? কেউ একজন নেই? তাহলে কি তোমাকে? কোন উত্তর নেই? মাঠের চারপাশের গাছ-গাছালি মেঘের মত কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে গেছে, একঝাঁক বালিহাঁস আর কয়েকজোড়া শালিক উড়ে গেল মাথার উপর দিয়ে, আশেপাশের ঝোঁপ ঝাঁড়ে থেকে থেকে ডাহুক ডাকছে। একটু পড়েই আঁধারেরা জেগে উঠবে, আঁধারকেই স্বাগত জানাতে যেন প্রকৃতি উৎকণ্ঠা ভরে চেয়ে আছে। চারদিকে নেই শহরের যানজটের হর্ণ কিংবা মানুষের কোলাহল। দূরে কয়েকজন রাখাল, গরু আর ছাগল নিয়ে ক্ষীণপদে বাড়ির পানে ফিরে আসছে, আরও দূরে কিছু বালক দাঁড়িয়ে আছে, একজন বল করছে, দু’জন ব্যাট হাতে জয়ের জন্য রান তাড়া করছে। মাঠের থেকে একদল কৃষক রিক্তহস্তে ঘরের পানে ফিরছে। নিজেদের মধ্যে কিছু একটা বলাবলি করছে। নির্বাক আমি মনের ভেতর শত প্রশ্নের ঝড় তুলে বিন¤্রভরে আকাশের দিকে তাকিয়ে। সেই প্রশ্নগুলো যেগুলো এখন আর তাড়া করে না, ভাবিয়েও তোলে না কিংবা বুকের মধ্যিখানে চাপা একটা ব্যাথাও অনুভব হয়না। ঝুপ করে নিশ^ব্দে রাত নেমে এল। দুরে মাঠের পাশের ঘরগুলোতে সন্ধ্যাবাতি জ¦লে উঠল মিট মিট করে। প্রচ্ছন্ন একা আমি সুবিশাল মাঠের মাঝে দাঁড়িয়ে। সন্ধ্যাতারাটা একগাল হেসে বলে উঠল তুই ও কি আমার মত নিঃসঙ্গ? ওর বলাটা হয়তো শুনতে পাই নি। কিন্তু মাথার উপরে সন্ধ্যাতারাটা তার দলবল নিয়ে ঠিকই জেগে উঠেছে পুরো আকাশটা পাহাড়া দেওয়ার জন্য। সে এক অদ্ভুত অনুভূতি যা ভাষায় প্রকাশযোগ্য নয়, একাকীত্বের, তীব্রতার। এ অনুভূতি তোমাকে ভালোবাসার.....